হোমমেড সেরেলাক: উপকরণ তালিকা (বিস্তারিত)
হোমমেড সেরেলাক: উপকরণ তালিকা (বিস্তারিত)
চাল - ১ কাপ (বিচ্ছিন্ন এবং ভালো করে ধোয়া)
মুগ ডাল - ১/২ কাপ (স্বাদ এবং পুষ্টির জন্য)
গম - ১/২ কাপ (পূর্ণ শস্যের গুণাবলি যুক্ত করতে)
বাদাম:
কাজু বাদাম - ২ টেবিল চামচ
কাঠবাদাম - ২ টেবিল চামচ
চিনাবাদাম - ২ টেবিল চামচ (উচ্চ প্রোটিনের জন্য)
খেজুর গুঁড়ো - ১ টেবিল চামচ (স্বাদ ও মিষ্টতা বাড়াতে)
সুজি - ১/২ কাপ (প্রয়োজন অনুসারে)
চিকলি বা শিমের ডাল - ১/৪ কাপ (স্বাদ ও বৈচিত্র্য আনতে)
তিল - ১ টেবিল চামচ (ক্যালসিয়ামের জন্য)
সরিষা বীজ (ইচ্ছেমতো) - ১/২ চা চামচ
কিশমিশ - ২ টেবিল চামচ (মিষ্টি স্বাদের জন্য)
এলাচ - ৩-৪টি (স্বাদ ও গন্ধ বাড়ানোর জন্য)
দারুচিনি গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ (ইচ্ছেমতো)
মাখন বা ঘি - ১ চা চামচ (পরিবেশনের আগে)
শুকনো ফল (ইচ্ছেমতো) - যেমন: আখরোট, পেস্তা (অতিরিক্ত পুষ্টির জন্য)।
পুষ্টি এবং স্বাদ বাড়াতে প্রয়োজন হলে অন্য যেকোনো উপকরণ যোগ করা যেতে পারে।
৬ মাসের শিশুর খাবারের তালিকা:
১. মায়ের দুধ
এই বয়সে মায়ের দুধই শিশুর প্রধান খাবার হওয়া উচিত। প্রতিবার খাওয়ানোর আগে এবং পরে মায়ের দুধ দিন।
২. চাল ও ডালের পায়েস:
ধোয়া চাল ও মুগ ডাল সিদ্ধ করে ভালো করে চটকে সামান্য ঘি দিয়ে খাওয়াতে পারেন।
৩. ভাত ও সবজি:
নরম করে রান্না করা ভাত ও শাকসবজি (যেমন আলু, মিষ্টি কুমড়া, গাজর) চটকে খাওয়াতে পারেন।
৪. সুজি বা সেমোলিনা খিচুড়ি:
দুধ বা পানিতে রান্না করা সুজি সামান্য খাওয়াতে পারেন।
৫. ফলমূল:
পাকা কলা চটকে,
পাকা পেঁপে চটকে,
আপেল সেদ্ধ করে পেস্ট আকারে খাওয়ান।
৬. মুগ ডালের পানি:
ডাল ভালো করে সিদ্ধ করে পানি ছেঁকে খাওয়াতে পারেন।
৭. ঘরে তৈরি সেরেলাক:
চাল, ডাল ও শুকনো ফলের মিশ্রণ গুঁড়ো করে ঘরে তৈরি সেরেলাক দিন।
৮. আলুর মেশানো খাবার:
আলু সিদ্ধ করে সামান্য ঘি বা মাখন দিয়ে চটকে খাওয়ান।
৯. শিশুদের জন্য বিশেষ রান্না করা সুপ:
মুরগি বা শাকসবজি দিয়ে হালকা সুপ বানিয়ে দিন।
১০. বুট বা মুগ ডালের পেস্ট:
ডাল সিদ্ধ করে নরম পেস্ট তৈরি করে শিশুকে খাওয়ান।
নোট:
কোনো নতুন খাবার দেওয়ার আগে শিশুর পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
খাবার খুব নরম ও চটকানো অবস্থায় দিন যাতে সহজে গেলা যায়।
প্রতিটি খাবার ধীরে ধীরে পরিচয় করান এবং শিশুর অ্যালার্জি বা অস্বস্তির লক্ষণ লক্ষ্য করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url